নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর উপর ১৯৬০ সালে নির্মিত মাতামুহুরী ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় ২শত কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
ওই ব্রীজের উভয় পাশে এপ্রোচ রোড নির্মাণের জন্য স্থানীয় এক ক্ষমতাসীন দলের নেতা ব্রীজের নীচে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিন-রাত হাজার হাজার ঘনফুট বালি উত্তোলন করছে।
এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে নির্মাণাধীন নতুন ব্রীজ। অথচ সরকার এপ্রোচ রোড নির্মাণের জন্যে কোটি কোটি টাকার বরাদ্ধ দিয়েছে।
ব্রীজের তলদেশ থেকে বালি উত্তোলন আইনত সম্পূর্ন নিষিদ্ধ থাকার পরও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে ওই প্রভাবশালী নেতা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অর্থপুর্ন উদারতায় এসব দেখেও কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এ অভিযোগ এলাকার সচেতন জনতার।
বলা বাহুল্য যে, চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মাতামুহুরী নদী ও ছড়াখালের অর্ধশত পয়েন্ট থেকে ওই প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিকে চুক্তি ভিত্তিক মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করছে। এতে সরকারে এক কানাকড়িও রাজস্ব পাচ্ছেনা।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভেঙ্গে যাচ্ছে নদী ও ছড়াখালের বাঁধ ও রাস্তাঘাট। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে শতশত বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা।
বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী নেতা কর্মী হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন প্রতিবাদ করার সাহসও হারিয়ে ফেলেছে।
জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে অনেকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ দেওয়ার পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন এ ব্যাপারে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: